প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
শিরোনামে ২০ এপ্রিল ২০২৫ যে সংবাদ জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
সংবাদটি রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত, সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন, এটা আওয়ামিলীগের কিছু দালালদের চক্রান্ত বলে আমি মনে করি।
প্রকৃত ঘটনা হলো আমি জামসেদুল ইসলাম টুটুল হাতিয়া উপজেলা ১নং হরনী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড, পূর্ব মোহাম্মদ পূর এর স্থায়ী বাসিন্দা, আমার পিতা ডাঃ আবুল কাশেম একজন সৎ, অমায়িক, ধর্মভিরু এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি। ৪ ভাইয়ের মধ্যে আমি ছোট। পরিবারের সকলেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমর্থক।
পড়ালেখার পাশাপাশি ২০০৮ সালে কৈশরের প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করি। ২০১২ সালে হরনী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই।উক্ত পদে টানা ৬ বছর বহাল থাকি।
২০২২ সাল থেকে আমি জিয়া মঞ্চে কাজ করি যার প্রতিফলন হিসাবে ২০২৩ সাল থেকে উপজেলা জিয়া মঞ্চের কমিটিতে স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছি।
২০১৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য রাজপথে শক্ত অবস্থানে আন্দোল সংগ্রাম করি, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিছিল, মিটিং সহ দ্রব্যমূল্যে উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ লিপলেট বিতরণসহ সকল অনুষ্ঠানে ছিলাম সক্রিয় ভূমিকায়, তৈরী করেছি অসংখ্য কর্মী। শহিদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারন করে দেশমাতার মুক্তির দাবীতে দেশ যখন উত্তাল তখনও আমি সুবর্ণচর, মাইজদী সদর, ঢাকা চট্রগ্রাম নিজের কর্মী বাহিনীকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছি।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের এক দফা দাবীতে দেশ ব্যাপী সকল সভা সমাবেশে আমি ছিলাম সামনের সারিতে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে হৃদয়ে লালন করে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে সব সময় ক্লান্তিহীন ভাবে লড়ে যাচ্ছি বীরের বেশে। সব শেষ ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের ১ দফা দাবীতে নোয়াখালী মাইজদীতে ছাত্রদের সাথে আমিও জীবন বাজী রেখে আন্দোলনে শরীক হই।
উল্লেখ্য যে, আমার অসম্মতিতে ২০১৯ সালে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে জোর পূর্বক ভাবে কোনো সম্মেলন না করে মোহাম্মদ আলী তার একক সিদ্ধান্তে আমাকে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি পদে নিয়ে আসে যাহা আমি লিখিত ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি এবং সেটি সকল মহলে অবগত আছে ।
যার কারণে মোহাম্মদ আলী আমাকে শারিরীক ও মানসিক এবং অর্থনৈতিক নির্যাতন করে। এমনকি এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। ২০২১ সাল থেকে অনলাইন ও অফলাইনে আমি সব সময় সক্রিয় ছিলাম। রাজনিতীর শুরু থেকে টানা ১২ বছর নিরলস রাজপথে থেকে যৌবনের রঙ্গিন সময় ব্যায় করে যাচ্ছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের একজন কর্মি হিসেবে শেষ চাওয়া দেশমাতা বিএনপির চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী সাবেক প্রধানন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দেখা এবং ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।
কিন্তু গত ২০-০৪-২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক ও জাতীয় কিছু পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ করা হয়েছে। যেখানে আমাকে চাঁদবাজ, ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে নির্যাতন এবং মামলার কথা বলা হয়েছে।উক্ত নিউজ প্রতিহিংসার প্রতিফলন ছাড়া অন্য কিছু আমি মনে করিনা । আমি এমন মিথ্যাচার এবং বানোয়াট খবরে মর্মাহত। আমি এই সকল নিউজ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং ভবিষ্যতে এই জাতিয় সংবাদ প্রচারের পূর্বে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার আহবান জানাচ্ছি।
রাজনিতীর পাশা পাশি আমি জামসেদুল ইসলাম টুটুল একজন চিকিৎসক, মানবাধিকার কর্মী ও সমাজ উন্নয়নে অসহায় মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি, ২০২০ সালের করোনা মহারামির সময় ঘর বন্ধি মানুষের জন্য ঔষধ পানি, বিভিন্ন হাট বাজারে জিবানু নাশক স্প্রে ছিটানো, হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কোরেন্টাইন নিশ্চিত এবং চিকিৎসা সহ সাধারন মানুষের সাথে ছিলাম, চলমান বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য বিতরণসহ নিজ এলাকায় মানুষের সেবার কাজ করে যাচ্ছি, হাতিয়ার এই জনপদ আমার জানা, এখানের মাটি আমার গায়ে মাখা, এখানেই আমি বড় হয়েছি আর এখানেই আমার শেষ সমাধি হবে। তাই মানব সেবার ওপরে কোন সেবা নেই, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনিতী করেনা, ছাত্র জীবনের শুরু থেকেই এই দলটির সাথে ছিলাম, আছি আমৃত্য থাকবো ইনশাল্লাহ।
আমি প্রকাশিত সংবাদের তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।