ছবি
গতকাল সুবর্ণ বার্তাকে ফোনে এ শোক বার্তা জানান তিনি। এসময় তিনি সুবর্ণ বার্তাকে বলেন, আবদুল কাইয়ুমের বাল্য নাম হচ্ছে – দুলাল। তার সাথে আমরা একসাথে পড়েছি, চট্টগ্রামে একসাথে মেসে ছিলাম। সে খুবই সহজ সরল এবং ভাল মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে আমি খুবই ব্যথিত হয়েছি। আমি তার জানাযায় যাওয়ার খুবই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমি নিজে অসুস্থতার কারণে যেতে পারিনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখছি তার বয়স ৭৫ উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবিক তার বয়স ৬১।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ২ টায় সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের বাংলা বাজার সংলগ্ন উনার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাইয়ুম দুলাল মাস্টার। দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানা যায়।
সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাইয়ুম দুলাল মাস্টার ইতোপূর্বে দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক খোলা কাগজ, দৈনিক সংগ্রামসহ দেশের আলোচিত পত্রিকা গুলোতে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি নোয়াখালীর দক্ষিণ অঞ্চলের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লর্ড লিওনার্ড চেশায়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
লর্ড লিওনার্ড চেশায়ার উচ্চ বিদ্যালয়েন প্রধান শিক্ষক বিকাশ কান্তি দেবনাথ বলেন, মরহুম আবদুল কাইয়ুম ১৯৯৩-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এবং উনার হাত ধরে এই প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান এতদূর নিয়ে আসার পিছনে উনার অবদান ছিলো সব চেয়ে বেশি। পরবর্তীতে সরকারি নীতামালা অনুযায়ী আমি বিকাশ কান্তি দেবনাথ প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালক করি। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে গত ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর শিক্ষকতার শেষ কর্মদিবসের মধ্যদিয়ে তিনি অবসরে গেলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল ১৮ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় প্রতিষ্ঠান মিলনায়তনে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ ও স্কুলের আয়োজনে উনার অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা ও মরহুম মাওলানা নুর উল্যাহ’র মরণোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। ঠিক এক দিন পূর্বেই ১৭ জানুয়ারি বেলা ২ ঘটিকায় উনার নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। যে অনুষ্ঠানে উনার অবসরের বিদায়ের কথা ছিলো, সেই অনুষ্ঠানে উনার জানাজার মধ্যদিয়ে চিরবিদায় অনুষ্ঠিত হবে। সত্যি এটি মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর।
সুবর্ণ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, মরহুম আবদুল কাইয়ুম এই উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক ছিলেন। উনার হাত ধরে অনেকে সাংবাদিকতা শিখেছেন। এছাড়াও তিনি সকল স্তরের সকল শ্রেনি পেশার মানুষদের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিলো। মরহুম আবদুল কাইয়ুম স্যারের মৃত্যুতে সুবর্ণ ক্লাবের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ জানাচ্ছি। এবং সকলের নিকট দোয়া চাই আল্লাহ যেনো উনাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দার করেন।
আবদুল কাইয়ুম লক্ষিপুর জেলার রামগতি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চাকরির সুবাদে তিনি সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে সামাজিক, রাজনৈতিকসহ গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।