আজিজুর রহমান, নোয়াখালীঃ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত-জনতার গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে শহীদ হওয়া দ্বীপ হাতিয়ার কৃতি সন্তান মরহুম মোঃ রিটনের কবর জিয়ারত করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাতিয়ার কৃতি সন্তান আব্দুল হান্নান মাসুদ।
সোমবার (২৬শে আগস্ট) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২২ নম্বর এলাকায় নিহত রিটনের কবর জিয়ারত করেন আবদুল হান্নান মাসুদ।এর পূর্বে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোঃ রিটনের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে হাতিয়া আসেন মাসুদ।
কবর জিয়ারত শেষে মাসুদ জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যেখানে দুর্নীতি, অনিয়ম, অন্যায় দেখবেন সাথে সাথে তা প্রতিহত করবেন। আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারকে যেভাবে উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছি, ঠিক আপনারাও সেভাবে অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন তাহলে দেখবেন ওরা পালানোর জায়গা পাবে না। মাসুদ বলেন, আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। আমি এখনো ছাত্র। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা রিটনের বাবার পাশে থাকবেন। রিটন শহীদ হয়েছে। আল্লাহ যেন তাকে শহীদী মর্যাদা দান করে বেহেশতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন।
জানা যায়,শহীদ রিটন ঢাকায় একটি দোকানে চাকুরীর কারণে অবস্থান করছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২২ লম্বর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা মো.আবুল কালামের বড় ছেলে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়।
পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) তাকে ঢাকা থেকে হাতিয়া এনে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শহীদ রিটনের কবর জিয়ারতের পর স্থানীয়দের সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর আব্দুল হান্নান মাসুদ উপজেলার ওছখালী শহর হাসপাতালে রোগীদের খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি উপজেলা হাসপাতালের সামনে হাতিয়াবাসির উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কোন প্রকার বৈষম্য চলবে না,থাকবেনা কোন সন্ত্রাসী। হাতিয়া এখন স্বাধীন।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ আলী ছিলেন হাতিয়ার সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার প্রায় ৮ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন। অবশেষে আওয়ামী লীগের পতনের পর তাকেও গ্রেফতার করা হয়।