নিজস্ব প্রতিবেদক: ইদানিং একটা নিউজ স্থানীয়, জাতীয় এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ফেসবুকে চোখে পড়ে, ছবিও দেখতে পাই। সবাই বলে ভয়ের কথা, পরিণতির কথা, এই অসুবিধা সে অসুবিধা, হেন হইছে তেন হইছে এজাতীয় নানান বর্ণনায় গুরু গম্ভীর গল্পে ভয়ের লেখা পড়ে যাই। কিন্তু কি হবে বাঁচার সম্ভাব্য উপায়? তা দেখতে ও পড়তে না পারায় আমি লেখার ভীষণ তাগিদ অনুভব করলাম। অনেকে এমনও আশঙ্কা করছেন, চলমান এই বর্ষায় হাতিয়ার দ্বীপ এলাকায় ঢুকে পড়বে প্রানসংহারি বিষধর।
এ বিষয়ে সর্বমহলের কাছে যা প্রথমে বলতে চাই, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা জীব বৈচিত্র্যের জীবন চক্রে আমাদের জন্য সমাধান রেখেছেন।
এর পাশাপাশি আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতা বাড়িয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সরকার, এনজিও, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ের প্রস্তাবনায় সরকার ও প্রয়োজনীয় সহায়তায় এগিয়ে আসবেন নিশ্চয়ই । প্রথমতঃ যে কথা বলি, আমরা মানুষই তো আমাদের চলার পথে, বাঁচার লক্ষ্যে, প্রতিনিয়ত প্রচুর প্রাণী হত্যা করা আমাদের আইনসিদ্ধ, জায়েজ। এখন কথা হলো, কুকুরের জন্যে মুগুর তো সাপের জন্যে বেজি, সো বেজির জন্যে প্রয়োজনে হাঁস মুরগির ছোট বাচ্চা দুই একটার মায়া ত্যাগ করতে হবে। এদের খেয়ে ফেলুক না বেজি। তাতে কি এমন ক্ষতি ? যতই বিষাক্ত ও বড় হোক না কেন বেজির কাছে সাপকে পরাস্ত স্বীকার করতে হয়। মনে রাখতে হবে, বেজি আর সাপের মধ্যে লড়াইয়ের সব সময় জিতে যায় বেজি।
কোবরার মত বিষাক্ত কেউ বেজির কাছে কখনোই জিতে না, গোখরাও বেজির কাছে কিছুই না,, সে ক্ষেত্রে রাসেল ভাইপার বেজির কাছে হবে নস্যি ।
বেজি নিজের বিভিন্ন কলা কৌশলে সাপের কামড় থেকে নিজেকে৷ রক্ষা করে। বেজি শরীরের কাঠামো ও তার বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলের কারণে কোন সাপই বেজিকে পরাস্ত করতে পারে না। বেজি সব সময় সাপের সামনে অঙ্গভঙ্গি ও লুকোচুরি করে টার্গেট নেয় সাপের মাথা, বেজি সাপের মাথায় কামড় দিয়ে মেরে ফেলে সাপকে।
যে কথা সবাইকে খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে, বেজী বাচ্চা ও তার নিজের খাবারের একমাত্র শত্রু মনে করে সাপকে। তাই সাপ দেখলে বেজি তাড়িয়ে দেয় ভালো করে, নতুবা কামড় দিয়ে সাপকে মেরে ফেলে এ নিশ্চিত ।
এ পর্যায়ে আরো ভালো প্রস্তাব হলো আশেপাশে বেজির গর্ত বা সম্ভাব্য স্থানে সুরক্ষা প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা করা যেতে পারে। বেজির বাচ্চা ও বেজির প্রাণ রক্ষা পেলে সব ধরনের সাপের বিষাক্ততা থেকে রক্ষা পাবে জনপদ।
ধান খেতে সাপের ডিম ও বাচ্ছা
সবই খাবে বেজি ও বেজির বাচ্চা।
যে কথা না বললেই নয়, আমরা সবাই বাগধারা বাক্য সম্প্রসারণে জানি সাপে নেউলে সম্পর্কের কথা,,
যাহা হলো চরম ও গুরুতর। অর্থ্যাৎ ঘোরতর শত্রুতা বোঝাতে হলে সাপে নেউলে সম্পর্কের ব্যাখ্যাটা আসে। আমাদের জনপদে আহ্বান রাখতে চাই,,,,
সাপে নেউলের সম্পর্ক বজায় রাখতে নেউলে/ বেজিকে মারবেন না। আর বেজি যে মানুষ কামড়ায় না এটাও পুরোপুরি ঠিক না, যদিও সেটা কালে ভদ্রে একদমই রেয়ার, কাউকে বেজী কামড়ালে জাস্ট একটা ভ্যাকসিনই এনাফ। যেভাবে কারো শরীরে লোহার পেরেক ঢুকলেও তো একটা ভ্যাকসিন নিতে হয়, তাই না?
অনেকটা ঠিক সেরকমই যা এবেল এবেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এ জন্যেই বলি আসুন
কোন ধরনের আতংক ভীত না হয়ে কর্মসূচির মাধ্যমে আহুত বর্তমান ভয়
আমরা করবো জয়।
এতে করে দেখা যাবে, বেজির মাধ্যমে শুধুই রাসেল নয় গোখরা কোবরা পরাস্ত হবে, এই জনপদে
প্রাণের বাসভূমি হাতিয়ার মানুষ রক্ষা পাবে।
এর চেয়ে ভালো, অন্য কোন উপায় জানা নেই
তবে, ঘরদোর চারপাশও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।