ডেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষক হলেন জাতির আলোকবর্তিকাবাহী এবং মানব জাতির ভবিষ্যতের রূপকার। তিনি আমাদের বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক। শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়, শিক্ষকদের থেকে যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা অর্জন করা হয়, তা জীবনের বাকি দিনগুলোতে বহন করে থাকি আমরা।
তোফাজ্জল হোসেন যথার্থই বলেন, “যে নিজেই নিজের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করে সে শিক্ষিত না হয়ে বোকা হয়। শিক্ষক নিছক বক্তা নন। তিনি আশ্চার্য, জ্ঞানবুদ্ধ। তার মুখনিঃসৃত কথা বক্তৃতা নয়- তা হবে বাণী। বাণী আর বক্তৃতার পার্থক্য বোঝ ? না বুঝলে তুমি কিছুই বোঝনি। তুমি শিক্ষক পদবাচ্য নও। বক্তৃতা করে প্রচারের জন্য প্রশংসা পাবার জন্য আর ভোট পাওয়ার জন্য, বাণী দেয়া হয় শিক্ষার্থীর কানের ভেতর দিয়ে তার মর্মেতে কল্যাণ বুদ্ধি জাগ্রত করার লক্ষ্যে। বক্তৃতা শ্রোতার মনকে উত্তেজিত করে। বাণী শ্রোতার অন্তরের গভীরে মণি দ্বীপ জ্বেলে দেয়।”
এমনি একজন শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। যিনি এবারের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২৪ মাদরাসা পর্যায় নোয়াখালী জেলায় শেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ইতোপূর্বে জেলা, উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। শ্রেষ্ঠ এ শিক্ষকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায়। তিনি তার নিজ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে জড়িত আছেন।