ডা. মো. জহিরুল ইসলাম
মূখ্য কারন সমূহ –
১) মুসলিমরা শিয়া,সুন্নি, মযহাব, কওমি, আলিয়া, ওহাবি, খারেজী, আহলে হাদীস, মাজারপন্থিসহ বিভিন্ন তরিকায় বিভক্ত হয়ে একে অপরের পিছনে লেগে আছে, এই এক্যবদ্ধহীনতার ফলে এক মুসলিম মার খাচ্ছে আরেক মুসলিম তামাশা দেখছে,যার কারণে মুসলিমরা আগের চেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে।
২) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তথা আধুনিক সমর জ্ঞানে মুসলিম দেশগুলো পিছিয়ে আছে। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া আর কোন মুসলিম দেশে পারমাণবিক বোমা নেই,বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোকে টিকে থাকতে হলে পারমাণবিক শক্তির বিকল্প নেই। বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোতে উল্লেখ যোগ্য কোন বিজ্ঞানী নেই।
৩) মধ্য প্রাচ্যের আরব দেশ সহ অনেক মুসলিম দেশে এখন ও রাজতন্ত্র বিদ্যমান এসব দেশের শাসক রা তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য তারা আমেরিকা, ইসরায়েল সহ বিশ্বের সুপার পাওয়ার ইসলাম বিদ্বেষী দেশের সাথে সমঝোতা করে চলে, তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে না,ফলে কোন মুসলিম দেশ ধবংস হয়ে গেলেও তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা জন্য তারা বসে বসে তামাশা দেখে অনেক ক্ষেত্র ইহুদি নাসারাদেরকে সহযোগীতা করে।
৪) মুসলিমদের মধ্যে দেশ প্রেমের অভাব, লোভ লালসা বেশি।তারা টাকা ও ক্ষমতার জন্য বিক্রি হয়ে যায়।
৫) সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান না থাকা। মুসলিম দেশগুলোর তথাকথিত আলেমসমাজ ইসলামকে নামাজ,রোজা,হজ্ব,যাকাত,তাবলিগ ও দান খয়রাতের মধ্যে সিমাবদ্ধ করে রেখেছে এবং আবাবিল পাখির আশায় বসে আছে, আবাবিল পাখি এসে ইহুদিদের ধবংস করবে।
❝৯০ লক্ষ ইহুদির সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ১৮০ কোটি মুসলিম আবাবিল পাখির অপেক্ষা করছে।
আর আবাবিল পাখি যদি আসেও তবে ইসরাইলের উপর নয়, আগে আমাদের উপরই পাথর বর্ষণ করবে।❞
➖