ছবি সংগৃহীত
দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িয়ে আছে ধনাঢ্য জেলা হিসেবে সুপরিচিত নোয়াখালী। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলাটি যেন শিল্পীর তুলির আঁচড়ে আঁকা ছবি। সবুজ চাদরে মোড়ানো নৈসর্গিক শোভা মন্ডিত উক্ত উপজেলাখানির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। কোন যাদুমন্ত্রে নয়, প্রবাসী আয় ও “সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা” র প্রত্যক্ষ ভূমিকায় বদলে যাচ্ছে সুবর্ণচর।
দেশের যুব সমাজের একটি বৃহৎ অংশ বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। বুকের ভিতরে নিত্যদিন আঘাত করে অদৃশ্য কোন হাতুড়ি। সে আঘাতে রক্ত ক্ষরণ হয়, খুব গোপনে নোনাজল ঝরে গাল বেয়ে বুকে পড়ে। অদৃশ্য হাতুড়ির আঘাতে কিযে ব্যথা অনুভব করে বেকার যুবক কিংবা যুবতীটি! গোপনে নোনাজল মুচে পেলে বেকারটি। এমন শতাধিক শিক্ষিত বেকারকে চাকরি নামক সোনার হরিণটি দিয়েছে “সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা”। এবং শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত অসংখ্য বেকারদেরকে জামানতবিহীন মূলধন দিয়ে উদ্যোগতাতে পরিণত করেছে ” সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা”।
উক্ত সংস্থাটির সোনাগাজী এরিয়া ম্যানেজার মোঃ মাজহারুল ইসলাম এর সাথে কথোপকথন হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, “সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা” র হেড অফিস নোয়াখালীর সুবর্ণচরে হওয়াতে সংস্থাটি সূচনালগ্নে সুবর্ণচরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে। ধিরে ধিরে এর কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন জেলায় বিস্তার লাভ করে।
মাজহারুল আরও বলেন, আমার বসত বাড়ি সুবর্ণচরে হওয়ার কারণে আমি খুব ভালো ভাবে জানি সুবর্ণচরে বেকারত্ব নিরসনে “সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা” র ভূমিকা অপরিসীম।
এছাড়াও মাজহারুল ইসলাম বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোন মানুষ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না। আর মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে “সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা”।