আহত সমন্বয়ক তানভীর শরীফ
এবিষয়ে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক তানভীর শরীফ বলেন, গতকালের কর্মসূচি Abdul Hannan Masud ভাইয়ের নির্দেশে জিইসি মোড়ে এসে শেষ করি। পরবর্তীতে আমরা আগামী কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে আলাপের জন্য মিনহাজের অফিসে বসি। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর রাফিকে ফোন দিয়ে পাচ্ছিলাম না। পরে তাকে ফোন দিলে বলে তানভীর ভাই আমার সাথে ২৫/৩০ জন আছে ওরা সহকারে আসতেছি। রাফিকে বললাম এতজনতো এই অফিসে জায়গা হবে না আপনার সাথে ৪/৫ জন আসবেন আরকি।প্রায় ৩০ মিনিট পর ওনি ৩০/৪০ জনকে নিয়ে আফিসে ডুকে। সেখানে সমন্বয়ক রিজাউর তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ডট গ্যাংকে নিয়ে আসে। এসে আবদুল হান্নান মাসউদকে প্রশ্ন করেন তাকে কেন জানানো হয়নি। তিনি বলেছেন, রাসেল রাফিকে জানানোর দরকার ওদের জানিয়েছি। তুমি কে ? যেহেতু তিনি কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তিনি সবাইকে চেনেন না এটাই স্বাভাবিক।
এরপর সমন্বয়ক রিজাউর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ডট গ্যাং সদস্য সাদিক আরমানসহ আরও অনেক উগ্র ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মাসউদ ভাই রাসেল এবং আমাকে সহ অবরুদ্ধ করে ফেলে। আমরা একটা রুমে আশ্রয় নিই। প্রায় একঘণ্টা সেখানে আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম। তারা বারবার সেখানে উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিল এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতেছিলো । একপর্যায়ে তারা সেখানে ভাঙচুরও করে। যার সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে।
পরবর্তীতে আমরা আশেপাশের বন্ধু, সমন্বয়ক ওমর ফারুক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ফোন দিই।ওনারা এসে ওনাদের সহযোগিতায় আমাদেরকে ওই স্থান থেকে বের করে আনেন । বের হওয়ার সময় তারা আমাদের উপর হামলা করে দেয় এবং সেখানে তানভীর শরীফ, ওমর ফারুক সাগর,আরিফ মইনুদ্দিন, নাছির উদ্দিন, নওশাদ, ইফতি, মাহমুদ আলম, শফিকুল ইসলামসহ আমাদের অনেক সহযোদ্ধাকে আঘাত করে। পরবর্তীতে ছাত্রদল আমাদেরকে সেইভ করেন।
আব্দুল হান্নান মাসুদ ভাই কে সেফলি বের করার সময় আমাকে পিছন থেকে টেনে ধরে কিল ঘুষি দেয় হামলাকারীরা। এবং আমার বাম হাতে খুব বাজে ভাবে আগাত প্রপ্ত হই।
পরে আবদুল হান্নান মাসুদ ভাইকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আমরা জিইসিতে অবস্থান নিই। তারা রাসেল আহমেদ এবং আমাদেরকে টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করে আমদের আশেপাশ জমায়েত হতে থাকে। আমরা সেখান থেকে আমাদের উপর হামলার প্রতিবাদি মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাব গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করি।
সেখানে থেকে আমি সহ আহতরা সবাই মেডিক্যালে চিকিৎসা নিচ্ছি।