ছবি সংগৃহীত
এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রাশেদ খাঁন তাঁর ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট করেন। পাঠক সুবিধার্থে তা হুবহুব তুলে ধরা হল-
“ঘোষণাপত্র ছাড়াই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। ঘোষণা দিয়ে নামতে গেলে হাসিনা কাউকে নামতেই দিতো না। বিগত রাজনৈতিক আন্দোলন যেভাবে দমন করেছে, ঠিক সেভাবেই করতো। বস্তুত কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০২৪ কোন সরকার পতনের আন্দোলন ছিলো না, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতেই আন্দোলন হয়। আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বা হত্যার প্রতিবাদে সকল শক্তি রাস্তায় নামলে হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়। রেট্রোস্পেক্টিভ ইফেক্টের মত এটাকে বিপ্লব-পূর্ব ঘোষণাপত্রের কৃত্রিম মোড়কে মোড়ানো ইতিহাস বিকৃতির শামিল হবে এই কারণে যে, কোন পরিকল্পনা করে বা ঘোষণা দিয়ে কোন গণঅভ্যুত্থান হয়নি। এটা ছিলো স্বতস্ফুর্ত। এখন যেটা হতে পারে গণঅভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাস সরকার কর্তৃক লিপিবদ্ধকরণ, ত্যাগের স্বীকৃতি প্রদান ও নতুন ‘রাষ্ট্র বিনির্মানের অঙ্গীকারপত্র’ তৈরিকরণ। কিন্তু সেটি করার উদ্যোগ কি সরকার নিবে, নাকি ৭১ এর মত ব্যক্তিস্বার্থে বিকৃত ইতিহাসকেই প্রকৃত ইতিহাস বানানোর চেষ্টা করা হবে? হাতে ক্ষমতা আছে, এখন সবকিছু কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যাবে। কিন্তু ৫৪ বছর পরে এসেও যেমন জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে চায়, ঠিক ২৪ বছর পরে গিয়ে জানতে চাইতে পারে ২০২৪ এ আসলে কি হয়েছিলো? তাই সরকারকে বলবো, সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধকরণের উদ্যোগ নিন। সরকার পক্ষের প্রকৃত লিখিত ইতিহাস প্রেরণা দিক জাতিকে, নতুন রাষ্ট্র বিনির্মানের সংকল্প বাস্তবায়িত হোক।”