ছবি- সংগৃহীত
আজ থেকে ১৪৪ বছর আগে জন্ম নিয়েছিলেন এক মহামানবী।
তাকে আমরা বাঙালি নারী সমাজ ভারতীয় উপমহাদেশ আখ্যা দিয়েছি জননী।
বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত যিনি,
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তিনি।
কুসংস্কারছন্ন ও ধর্মীয় গোড়ামীতে আবদ্ধ ছিল যে ভারতীয় উপমহাদেশ,
সে নারীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়েছেন বেশ ।
কন্যারা এমন শিক্ষা শিক্ষিত হোক যাতে তারা হতে পারে আদর্শ জননী আদর্শ গৃহিণী আদর্শ নারী।
নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে চিন্তা করেছেন এই মহান মানবী।
এক দেহে দুটি চোখ একটি চোখ আরেকটি চেয়ে বড় হতে পারে না,
পুরুষ এবং নারীর শিক্ষা নিয়ে বৈষম্য হতে পারে না।
না জাগিলে ভারত ললনা এই ভারত আর জাগিবে না।
নারীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে স্ব ব কর্ম ক্ষেত্রে ছাড়িয়ে দাও,
বলেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এ কথাও।
মা জননী কন্যা ভগিনী জাগো জাগো,
বলেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন শুনো গো।
মেয়েরা পারে কৃষি ক্ষেত্রে শিল্প ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখতে,
বেগম রোকেয়া লিখে গিয়েছিলেন তার পান্ডুলিপি খাতাতে।
গভীর শ্রদ্ধা জন্মদিনের এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের শান্তি কামনা করি এই মহানমানবীর।
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রত্যেক শিক্ষিত নারীরা বেগম রোকেয়া কাছে থাকুক চিরঋণী।
___________
আজ ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে কবিতাটি লিখেছেন সুবর্ণ রোকেয়া রুমী আক্তার। তিনি তাঁর লিখিত এই মহামানবী কবিতাটি ভারতবর্ষের সকল শিক্ষিত নারীদেরকে উৎসর্গ করেছেন। বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি জরিপে নির্বাচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নারী।