1. my@subarnabarta.online : সুবর্ণ বার্তা : সুবর্ণ বার্তা
  2. info@www.subarnabarta.online : সুবর্ণ বার্তা :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন

৫ অগাস্ট জোনায়েদ সাকির ভূমিকা নিয়ে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডার জবাব

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

জোনায়েদ সাকি

৫ অগাস্ট জোনায়েদ সাকির ভূমিকা নিয়ে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডার জবাব। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে একটি উচ্চ বিলাসী রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।  তারই ধারাবাহিকতায় তারা দেশে একটি একটি উন্মাদনা দৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে পতিত সরকারও বসে নেই, তারাও পুন প্রতিষ্ঠিত হতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পতিত সরকারের চক্রান্তের সাথে এখন যোগ হয়েছে স্বৈরাচার বিরোধী দল সমূহের নিজেদের মধ্যে মত পার্থক্য। বিষয়টি এতদিন প্রকাশ্যে না আসলেও এখন তা প্রকাশ্যে রূপ নিতে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শায়েখ মাসুদ নামে এক ব্যক্তি প্রশ্ন তুলেছে ৫ অগাস্ট জোনায়েদ সাকির ভূমিকা নিয়ে। এনিয়ে সে তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যাকে আবার জোনায়েদ সাকির পক্ষ থেকে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা হিসেবে অভিযুক্ত করে তিনি তার ফেসবুকে পাল্টা জবাব দেন।

নিম্নে তাদের ফেসবুক অভিযোগ ও জবাব তুলে ধরা হল-

▶️ ৫ অগাস্টে জোনায়েদ সাকির ভূমিকা নিয়ে শায়েখ মাসুদের অভিযোগ:

⏹️ “৫ ই আগস্ট গণভবন, বঙ্গভবনে জাতীয় নেতৃবৃন্দের নানান ভূমিকা যা আমাদের সকলের জানা উচিত।…………………
বঙ্গভবনে রাজনৈতিক দলের নেতা ও সমন্বয়কদের যাওয়া নিয়ে এখন নানামুখী বির্তক চলছে। আমি উল্লেখযোগ্য কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না হওয়া সত্বেও বিশেষ পরিস্থিতিতে ৫ আগস্ট সেনা সদরে অতঃপর বঙ্গভবনে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেনা সদরে আসিফ নজরুল স্যার কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিভাবে সরকার গঠন হতে পারে তার কোন হোমওর্য়াক করেছেন কিনা। উনার উত্তর ছিল গত কয়েকদিন পালিয়ে কাটিয়েছেন, হোমওয়ার্ক করবো কখন। উনার বডি ল্যাঙ্গিয়ুজ, কথাবলার ধরণ যা কিছু দেখেছি তাতে আমি বিশ্বাস করি উনি সত্য কথাই বলেছিলেন।
সেনা প্রধান বক্তব্য শেষে যখন সবাই কে তাঁর সাথে বঙ্গভবনে যাওয়ার অনুরোধ করলেন তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই প্রথমে যেতে চাননি। সেনাপ্রধান দেশের ক্রান্তিলগ্নে সবার সহযোগিতা চেয়ে বারবার রিকুয়েস্ট করছিলেন অপরদিকে জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বারবার বলছিলেন যে আমাদের যাওয়া উচিৎ। পরে সবাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেনা সদরে গিয়েছিলেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , মির্জা আব্বাস, জামায়াতের ডা. শফিকুর রহমান, হামিদুর রহমান আজাদ , জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ইসলামি আন্দোলনের সৈয়দ ফয়জুল করিম , খেলাফল মজলিসের মাওলানা মামুনুল হক , ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা ফায়জুল্লাহ, গণসংহতির জোনায়েদ সাকি এবং ড.আসিফ নজরুল। আসিফ নজরুল স্যার এবং জোনায়েদ সাকিকে আর্মির জীপ গাড়িতে উঠিয়েছে আর বাকি নেতৃবৃন্দকে মিনি কোস্টারে নিয়েছে। কোস্টারের গ্লাস সাদা হওয়াও জি এম কাদের এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে বের হওয়ার পর থেকে ভয়ে আতঙ্কে পর্দায় নিজেদের কে ঢেকে রেখেছিলেন। আমরা ভয় পাচ্ছিলাম জনতা জি এম কাদের কে দেখে ফেলে কিনা।
যাওয়ার সময় চরমোনাই এর মাওলানা ফয়জুল করীম আর আমি পাশাপাশি বসেছিলাম, কি ধরনের সরকার হতে পারে এ নিয়ে আলাপ হচ্ছিল, উনি বারবার বলছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়ে সামরিক সরকার ভালো এবং আমাদের সেভাবেই কথা বলা উচিৎ।
ইসলামি দলগুলোর আপত্তির কারণে ইসলামি ঐক্য জোটের মাওলানা ফায়জুল্লাহর আর বঙ্গভবনে যাওয়া হয়নি। বিএনপি জামায়াতসহ অন্য দলগুলো আপত্তি করলে হয়ত জাতীয় পার্টিও বাদ পড়ত। মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল ইসলাম সহ অন্য যারা বঙ্গভবনে গিয়েছিলন তারা সরাসরি সেখানে গিয়েছিলন।
বঙ্গভবনে যাওয়ার পর জুনায়েদ সাকি ডিউটিরত অফিসারদের কে বলে, তিনজন সমন্বয়ক গেটে আসবে তাদেরকে ভিতরে আনার ব্যবস্থা করতে এবং তারা ভিতরে আসার আগ পর্যন্ত বারবার তিনি দরবার হল থেকে উঠে যাচ্ছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট আর্মি অফিসার কে জিজ্ঞেস করছিলেন কেউ আনতে গেছেন কিনা। সমন্বয়ক হিসাবে যারা বঙ্গভবনে গিয়েছিল তারা ছিল জোনায়েদ সাকির চয়েস। তাঁরা আসলে সমন্বয়ক কিনা তাও আমরা জানিনা এবং আসিফ নজরুল স্যার তাদের আগে থেকে চিনতেন বলে আমার মনে হয়নি।
অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে জামায়াতের আমীর প্রথমেই বলেন যে যেহেতু ছাত্রদের নেতৃত্বে বিপ্লব হয়েছে সুতারাং তাঁদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটামুটি সবাই এ ব্যাপারে একই সুরে কথা বলেন। শুধুমাত্র চরমোনাই পীর মাওলানা ফয়জুল করীম বলেন যে নিবন্ধিত দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। জিএম কাদের মার্শাল ল জারী করার কথা বলেন। সবার প্রতিবাদের মুখে উনি অবশ্য বলেন যে উনি আইন শৃৃখলা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের কথা বলতে যেয়ে ভুলে মার্শাল ল জারীর কথা বলে ফেলেছেন। ছাত্রদের সাথে যোগাযোগের ব্যাপারে সবাই আসিফ নজরুল স্যারের সহযোগিতা নিতে বলেন এবং কেউ কেউ রাতেই সরকার গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। সেখানে আসিফ নজরুল স্যার স্পষ্ট বলেন যে, ১৬৫ জন সমন্বয়ক, তারা নিজেরা আলাপ আলোচনা করবে, সিদ্ধান্ত নিবে এতেতো সময় লাগবে।
এখন বিপ্লবী সরকার না হওয়া, বঙ্গভবনে ভুয়া সমন্বয়ক নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি নানা বিষয়ে যেভাবে একক ভাবে আসিফ নজরুলের উপর দায় চাপানো হচ্ছে তা বাড়াবাড়ি। ৫ তারিখে ফ্যাসিস্টদের দোসর জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ফায়জুল্লাহ গং দের যারা দাওয়াত দিয়েছিল তারা পরিকল্পিত ভাবে কাজটা করতে পারে।

তবে আসিফ নজরুল বা বিএনপি, জামায়াত ঐ সময়ে পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গভবনে গিয়েছিল এটা আমার মনে হয়নি। হঠাৎ এত বড় পরিবর্তনে হোমওয়ার্ক না থাকায় তাঁরা সেই পরিস্থিতিতে যা ভালো মনে হয়েছে তাই করেছেন।
@ Shaikh Masud ,,

▶️ জোনায়েদ সাকির পক্ষ থেকে জবাব”

⏹️ “#৫আগস্ট_বঙ্গভবনের_ঘটনা_বিষয়ে:

গতকাল শেখ মাসুদ নামে জনৈক ব্যক্তি আমার বিষয়ে তার ফেসবুক পোস্টে গত ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে তিন ছাত্রনেতাকে আনার বিষয়ে যে ভাষ্য প্রদাণ করেছেন তা সর্বৈব অসত্য। ঐদিনের ঘটনার বর্ণনায় আমার বারবার উঠে যাওয়া ও সামরিক কর্মকর্তাদের তিনজনকে আনার বিষয়ে তিনি যা বলেছেন তা একেবারেই তার কল্পনা প্রসূত।

সেদিন আমি গণতন্ত্র মঞ্চের ৩ নেতা যথাক্রমে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন যারা বঙ্গভবনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য কর্তব্যরত সামরিক কর্মকর্তাদের বারবার তাগাদা দিচ্ছিলাম। যে তিন ছাত্রনেতা বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের সাথে আমার যোগাযোগের কোন সূত্রই ছিলো না এবং আমার তাদেরকে আনার কোন প্রশ্নই উঠে না।

#StopDisinformation #StopMisinformation #NewsUpdate ,,

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট