♥অধ্যায়- দ্বিতীয়
তনুর কাছ থেকে এসে তনুজা আজ খুব উদাসীন উদাসীন। তাকে পাগলও বুঝা যাচ্ছেনা আবার ভালও না। হঠাৎ তার মাঝে পরিবর্তন!
লুড়ু ঘরের সাপ খেলা প্রিয় তনুজাকে খেলতে ডাকছে তার কাজিনরা। কিন্তু সে বলে তোরা খেল আমি খেলবোনা। যে তনুজা প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাদের ডেকে আনতো সাপ খেলার জন্য সেই তনুজা আজ নিজেই খেলবেনা তার কাজিনরা তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেনা। সে শুধু একাকী থাকতে চাই। সেখানে দৈব কেউ যেন তার সাথে কথা বলছে, তাকে সঙ্গ দিচ্ছে তার সাথে সে সাপ খেলা খেলছে। তাই আমাদের সাথে খেলতে আজ তার আর ভাল লাগছেনা। তাকে আমরা বারবার জিজ্ঞেস করি কিন্তু সে কোনভাবেই স্বীকার করছেনা। অনেক কষ্টে যখন সব কাজিন তাকে ঘিরে ধরে তখন আর স্বীকার না করে পারলোনা। এবং বলতে বাধ্য হল তার প্রেমে পড়ার কথা। কিন্তু কে সে তা বলছেনা। কাজিনরাও পেয়েছে তাকে। তারাও ছাড়ছেনা। বলতেই হবে। তুমি একাএকা ডুবে ডুবে পানি খাবে তা হবেনা তাহবেনা। আমরা সবাইকে বলে দেব। তনুজার মনে ভিতির সঞ্চার হল। যদি তার মা-বাবাকে বলে দেয় তাহলেতো সব শেষ। তাকে আর কখনও বাহিরের আলোও দেখতে দিবেনা। আর এতে করে বন্ধ হয়ে যাবেনা তার লেখাপড়া, বন্ধ হয়ে যাবে তনুর সাথে তার সম্পর্ক। তাই কাউকে না বলার শর্তে কাজিনদের মাথা ছুঁইয়ে শপথ করিয়ে বলল তনুর সাথে তার প্রেমের কথা। কথা শুনে তাদের হবু দুলাভাইকে দেখতে উদগ্রীব তারা। কিন্তু কঠিন গোপনীয়তার কারণে গ্যালারিতে তাদের কোন ছবি নেই। কি করা যায়! নাছোড় কাজিনরাতো তার পিছু ছাড়ছেনা। অবশেষে সরাসরি দেখবে তারা। তনুজা তনুকে ফোন দেয়। তোমার শালিরা তোমাকে দেখতে চাই। তারাতো আমায় ঘিরে আছে। আমায় ছাড়ছেনা। তনু- ভালইতো। তনুজা- তো এখন কিভাবে? তনু- অন্য একদিন তাদের নিয়ে রাজশাহীর ক্যডেট কলেজ মাঠের নিরবিলি পার্কে এসো। সেখানে দেখা হবে।